আমাদের এই ব্লগ সাইটের সমস্ত পোস্ট দেখতে Site Map Page দেখুন। এছাড়াও উপরে ডানপাশে সার্চ বক্সে আপনার প্রয়োজনীয় বিষয় লিখে সার্চ দিন।(ধন্যবাদ)

নগদ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

নগদ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

নগদ এজেন্ট খোলার নিয়ম, নগদ উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য করণীয়, নগদ উদ্যোক্তা হতে কি কি প্রয়োজন,Nagad uddakta,Nagad Agent,Nagad Agent, Alim Telecom, আলিম টেলিকম
নগদ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম 

নগদ এজেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য করনীয় কি ? 

যারা নগদ মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসা করতে চান তাদের জন্য এই পোস্টটি লেখা। নগদ মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসা করার জন্য প্রথমে নগদ সম্পর্কে জানতে হবে। এখন জেনে নেওয়া যাক নগদ সম্পর্কে । নগদ মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসা করার জন্য নগদ সম্পর্কে ভালো করে জানা দরকার।


নগদ কি? 


নগদ হচ্ছে একটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। নগদ বাংলাদেশের পোস্ট অফিসের একটি ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন সেবা। নগদ একটি সুরক্ষিত দ্রুত ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন সেবা যা তার গ্রাহককে ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জের মত আর্থিক লেনদেনের সুবিধা দিয়ে থাকে।  যার মাধ্যমে সহজে মানুষ টাকা লেনদেন করতে পারে। বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের অধীনে একটি অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। ২০১৯ সালে নগদ অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং হিসেবে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে খুবই কম খরচে নগদে লেনদেন করা যায়।  

গ্লোবাল ইকোনমিক্স অ্যাওয়ার্ডস  মার্চ,2021

ডিজিটাল ফাইনান্সে সবচেয়ে উদ্ভাবনী ডিজিটাল ফিনান্স সার্ভিস এবং সেরা নতুন মোবাইল অ্যাপ।

এছাড়াও বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল MFS উল্লেখ করা হয়েছে। 

বর্তমানে নগদের গ্রাহক সংখ্যা 5.85 কোটি,আর নগদ উদ্যোক্তা সংখ্যা 2.40 লক্ষ এবং দৈনিক 700 কোটি টাকার লেনদেন অর্জন করেছে। এছাড়াও শুধুমাত্র *167# ডায়াল করে একটি নগদ একাউন্ট খোলার ব্যবস্থা রয়েছে। নগদ এর একটি বিপ্লবিক উদ্ভাবন যা গ্রাহকদের সহজেই একটি নগদ একাউন্ট খুলতে সক্ষম করেছে।


নগদ এজেন্ট মানে কি? 


এখন আলোচনা করব নগদ এজেন্ট সম্পর্কে। নগদ এজেন্ট হচ্ছে নগদের প্রতিনিধ। নগদ উদ্যোক্তা প্রয়োজন হয় নগদের টাকা গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। গ্রাহকের কাছে টাকা লেনদেন করার জন্য জায়গায় জায়গায় নগদের উদ্যোক্তা পয়েন্ট আছে। এই উদ্যোক্তা পয়েন্টের কাজ হচ্ছে গ্রাহকের কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়া। উদ্যোক্তার কাছে নগদের ডি এস ও এসে প্রতিদিন টাকা লেনদেন করে যায়। একজন নগদ উদ্যোক্তা কে প্রতিদিন ডি এস ও র সঙ্গে লেনদেন করতে হয়। নগদ উদ্যোক্তা একাউন্টে যদি টাকা জমা থাকে বা গ্রাহক উদ্যোক্তা একাউন্টে ক্যাশ আউট করলে সেই উদ্যোক্তা একাউন্টে থাকা টাকা সহজে তুলতে পারে ডি এস ওর থেকে। সে ক্ষেত্রে নগদ থেকে দেওয়া কমিশন পাবেনা। নগদ উদ্যোক্তা গ্রাহককে টাকা ক্যাশ ইন করে দিলে নগদ থেকে কমিশন দেওয়া হয়। USSD *167# কোড ব্যবহার করে ক্যাশ ইন করলে উদ্যোক্তা কে নগদ থেকে ৩.৯০ টাকা কমিশন দেওয়া হয়। আর যদি উদ্যোক্তা অ্যাপ থেকে ক্যাশ ইন করা হয় তাহলে নগদ থেকে ৪.১০ টাকা কমিশন দেওয়া হয়। কোন গ্রাহক যদি নগদ এজেন্টে ক্যাশ আউট করে তাহলে নগদ থেকে হাজারে ৩.৯০ - ৪.১০ টাকা পর্যন্ত কমিশন দেওয়া হয় উদ্যোক্তাকে। 


নগদ মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসা করার জন্য নগদ উদ্যোক্তা হওয়া প্রয়োজনীয় কেন? 


নগদ মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসা করার জন্য উদ্যোক্ত হওয়া খুবই প্রয়োজন। কারণ উদ্যোক্তা হওয়া ছাড়া একজন ব্যবসায়ী প্রয়োজনীয় লেনদেন করতে পারবেন না। একজন ব্যবসায়ী যদি পার্সোনাল নগদ একাউন্ট থেকে লেনদেন করে সেক্ষেত্রে সেন্ড মানি খরচ কাটবে। লেনদেনে কোন কমিশন নগদ থেকে পাবে না। আর মাসিক লিমিট প্রয়োজন অনুসারে লেনদেন করা যাবেনা। আর একজন উদ্যোক্তা ইচ্ছে অনুযায়ী লেনদেন করতে পারে। আর উদ্যোক্তা ক্যাশ ইন করতে কোন চার্জ কাটেনা বা কোন মেসেজ খরচ নেই। এবং উদ্যোক্তাকে ক্যাশ ইন এবং ক্যাশ আউটে কমিশন দেওয়া হয়। তাই নগদ মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসা করার জন্য উদ্যোক্তা হওয়া অবশ্যই দরকার। 


নগদ উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য কাগজপত্র 


নগদ উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গায় দোকান থাকা দরকার। আশেপাশে কোন উদ্যোক্তা পয়েন্ট নেই এরকম দোকান হলে খুব সহজেই উদ্যোক্তা হওয়া যায়। আশেপাশে যদি নগদ উদ্যোক্তা থাকে তাহলে সেখানে আর একটা উদ্যোক্তা দেওয়ার জন্য প্রচুর লোকজন থাকতে হবে। এবং দৈনিক লেনদেন ঠিকভাবে হয় এমন হতে হবে। 


কাগজপত্র ও প্রয়োজনীয় বিষয়  


নগদ উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রয়োজন 

  1. দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স ।
  2. ট্রেড লাইসেন্স যার নামে তার এন আই ডি ফটো কপি।
  3. নগদ খোলা হয়নি এমন একটি মোবাইল নম্বর।
  4. দুই কপি রঙিন ছবি।
নগদ উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য কাগজপত্র সব একই ব্যক্তির হতে হবে। ট্রেড লাইসেন্স যার নামে তার এন আই ডি ফটো কপি। আপনি যে সিম দিয়ে নগদ একাউন্ট খুলবেন সেই সিম টি যেন আপনার নিজের নামে রেজিস্ট্রেশন হয়। নিজের না হলেও আপনার পরিবারের কারো নামে রেজিস্ট্রেশন হলে কোন সমস্যা নেই। আপনার সিম টি নষ্ট হয়ে গেলে বা হারিয়ে গেলে তাহলে খুবই দ্রুত তুলতে পারবেন। 


(সতর্কতা) 

নতুন এজেন্ট হওয়ার পর হ্যাকার থেকে খুবই সাবধান। কারণ নতুন এজেন্ট বা উদ্যোক্তা হওয়ার পর হ্যাকার নগদের অফিসার বলে কল দিয়ে উদ্যোক্তার কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য জানতে চাইবে। নগদের কমিশন বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলবে। এবং মোবাইলে পাঠানো ওটিপি জানতে চাইবে এবং কৌশলে পিন নম্বর নিয়ে নেবে। ডি এস ওর নাম্বার জানতে চাইবে। তাই নতুন এজেন্ট হওয়ার পর প্রতারক থেকে খুবই সাবধান থাকতে হবে। নগদের অফিসের কোন নাম্বার থেকে কল দিলে নাম্বারটা কেটে দিয়ে আবার ওই নাম্বারে কল দেওয়াটা দরকার। 

বিকাশ পার্সোনাল, নগদ পার্সোনাল ,বিকাশ এজেন্ট, নগদ এজেন্ট সম্পর্কে আরো জানতে ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং নিচের লিংক গুলোতে ক্লিক। 



bKash/বিকাশ দিয়ে মোবাইল রিচার্জ করার পদ্ধতি


 Electric bill/বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার নিয়ম 


  Rocket/রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম 




   






 





Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post