bKash/বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য করনীয় |
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম।
যারা বিকাশের ব্যবসা করতে চান তাদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাজ। এবং বিকাশ এজেন্ট খোলার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন। এবং কিভাবে সহজে আপনি বিকাশ এজেন্ট খুলতে পারবেন তা আপনি সহজেই এই পোস্ট থেকে জানতে পারবেন। বিকাশের এজেন্ট সম্পর্কে জানতে এই পোস্টটি ভালো করে পড়ুন।
প্রথমে বিকাশ সম্পর্কে আলোচনা করি।
বিকাশ কি?
বিকাশ হচ্ছে একটি অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং সেবা যার মাধ্যমে সহজেই টাকা লেনদেন করতে পারেন। যেকোন মানুষ সহজেই ঘরে বসে বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতে পারে। ব্রাক ব্যাংক, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানি ইন মোশন এলএলসি, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের অন্তর্গত ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন, বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, গ্রুপ এবং সফট ব্যাংক ভিশন ফান্ড এর যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বিকাশ। ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত পেমেন্ট সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সেবা দিয়ে আসছে। ২০১১ সালে বিকাশ অগ্রযাত্রা শুরু করেন। বিকাশ হচ্ছে ব্রাক ব্যাংকের একটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। এটি সর্বপ্রথম রবি নেটওয়ার্ক দিয়ে চালু হয়েছিল।বর্তমানে সব নেটওয়ার্ক দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়।
২০১২ সালে ২০ লাখ নিবন্ধিত গ্রাহক। ব্র্যাক ব্যাংকের সাথে এটিএম ক্যাশ আউট চালু।
২০১৩
দেশব্যাপী ৫০ হাজার এজেন্ট পয়েন্ট। এক কোটি নিবন্ধিত গ্রাহক। এভাবে দেশব্যাপী বিকাশের গ্রাহক সংখ্যা ও এজেন্ট পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে বিকাশ গ্রাহক সংখ্যা ৬ কোটি 30 লক্ষ, এজেন্ট পয়েন্ট ৩ লক্ষ+ বিকাশের গ্রাহক সংখ্যা ও এজেন্ট পয়েন্ট দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এখন আলোচনা করব বিকাশ এজেন্ট সম্পর্কে।
বিকাশ এজেন্ট কি?
এজেন্ট মানে হচ্ছে প্রতিনিধি। বিকাশ এজেন্ট মানে হচ্ছে বিকাশের প্রতিনিধি। কেউ যদি বিকাশের ব্যবসা করতে চাই তাহলে তার বিকাশ এজেন্ট হওয়া খুবই প্রয়োজন। কারণ এজেন্ট একাউন্ট ছাড়া বিকাশ ব্যবসা করা যায় না। কেউ যদি বিকাশের এজেন্ট এর জন্য আবেদন করেন। তাহলে বিকাশ কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদন গ্রহণ করলে আপনি তখন বিকাশের প্রতিনিধি হিসেবে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনাকে ব্যবসার সুযোগ দিলে বিকাশের সঙ্গে প্রতিদিন আপনার একাউন্টে টাকা লেনদেন করতে হবে। বিকাশ ডিএসও'র সঙ্গে প্রতিদিন লেনদেন করতে হবে। গ্রাহকের সঙ্গে টাকা লেনদেন করতে হবে প্রতিদিন। আপনি যদি কোন গ্রাহককে তার পার্সোনাল একাউন্টে ক্যাশ ইন করে দেন বা কোন পার্সোনাল একাউন্ট থেকে যদি আপনার এজেন্ট নাম্বারে ক্যাশ আউট করে তাহলে বিকাশ থেকে আপনাকে কমিশন দেওয়া হবে। আপনি যখন নতুন এজেন্ট হবেন তখন আপনাকে কমিশন দেওয়া হবে হাজারে ৩.৭০ টাকা। আর আপনি যখন লেনদেন করা চালিয়ে যাবেন তখন আপনার কমিশন আরো বাড়বে।১-২ মাস পর আপনার এজেন্ট অ্যাপ লগইন করতে পারবেন। তখন বিকাশ এজেন্টকে কমিশন দেওয়া হবে হাজারে ৪.১০ টাকা। এরপর মাসে মাসে লিমিট বোনাস পাবেন বিকাশ থেকে।
বিকাশের প্রতিনিধি কারা হতে পারবে।
বিকাশের প্রতিনিধি হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট একটি দোকান লাগবে। এবং দোকানটা লোকালয়ে হতে হবে যেখানে প্রতিদিন লেনদেন হবে অবশ্যই। লোকালয়ে দোকান না হলে লেনদেনের সম্ভাবনা কম। আর আপনার আশেপাশে যদি বিকাশ এজেন্ট থাকে তাহলে আপনার এজেন্টের জন্য আবেদন করলে তারা লেনদেনের পরিস্থিতি দেখে এজেন্ট একাউন্ট দিতে পারে।
এজেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
- কেউ যদি বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে চাই তাহলে তার নির্দিষ্ট একটি দোকান লাগবে।
2. দোকানের ট্রেড লাইসেন্স
3. টিন সার্টিফিকেট
4. যার নামে দোকানের ট্রেড লাইসেন্স তার এন আই ডি ফটোকপি রঙিন।
5. 4 কপি ছবি
6. কোন বিকাশ খোলা হয়নি এমন একটি মোবাইল নম্বর।
সব কাগজপত্র একই ব্যক্তির হওয়া অবশ্যই দরকার।
এই সমস্ত কাগজপত্র সংযুক্ত করে বিকাশ অফিসে জমা দিলেই এক মাসের মধ্যে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলে দিবে। এজেন্ট একাউন্ট দেওয়ার আগে বিকাশ অফিসে ট্রেনিংয়ের জন্য ডাকা হবে। বিভিন্ন রকমের ট্রেনিং দিয়ে আপনাকে তারা নিয়ম-কানুন শেখাবে। কিভাবে লেনদেন করবেন, ডিএসও র, সঙ্গে দৈনিক কত লেনদেন করতে হবে, আরো বিভিন্ন সতর্কতা আপনাকে জানানো হবে।
(সতর্কতা)
বিকাশে নতুন এজেন্ট একাউন্ট খুললে হ্যাকার আপনাকে কল দিবে। বিকাশের অফিসার পরিচয় দিয়ে আপনার কাছ থেকে তথ্য হাতিয়ে নিবে। বিকাশের লেনদেনের কমিশন বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ওটিপি এবং পিন নম্বর কৌশলে নিয়ে নেবে। তাই খুবই সাবধান বিকাশের কোন অফিসার মোবাইল করে আপনাকে কমিশন বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলবে না। কোন অফিসার আপনার কাছ থেকে পিন নম্বর এবং ওটিপি চাইবে না। যদি কেউ বিকাশের অফিসার পরিচয় দিয়ে কল করে তাহলে আপনি কল কেটে দিয়ে ওই অফিসারের নাম্বারে আবার কল দিবেন। বিকাশের অফিসার কল দিয়ে আপনার কাছ থেকে আপনার ডি এস ওর নাম্বার জানতে চাইবে। সুতরাং ফোনে কাউকে আপনার এজেন্ট একাউন্ট এর ব্যক্তিগত তথ্য দিবেন না।
এজেন্টের লেনদেন করার নিয়ম জানতে এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। এই ওয়েবসাইটে বিকাশ এজেন্ট এবং পার্সোনাল দিয়ে লেনদেন করার নিয়ম দেওয়া আছে।
আপনার আরো প্রয়োজনীয় বিষয় সম্পর্কে জানতে নিচের লিংকগুলোতে ক্লিক করুন।
বিকাশ পিন নম্বর পরিবর্তন করার নিয়ম
নগদ একাউন্ট ব্যালেন্স দেখার নিয়ম
Nagad/নগদে মোবাইল রিচার্জ করার নিয়ম
bKash/বিকাশ একাউন্ট ব্যালেন্স চেক করার নিয়ম
Nagad/নগদে সেন্ড মানি করার নিয়ম
Post a Comment