আমাদের এই ব্লগ সাইটের সমস্ত পোস্ট দেখতে Site Map Page দেখুন। এছাড়াও উপরে ডানপাশে সার্চ বক্সে আপনার প্রয়োজনীয় বিষয় লিখে সার্চ দিন।(ধন্যবাদ)

শব্দ কাকে বলে ? শব্দ কত প্রকার ও কি কি উদাহরণস্বরূপ

শব্দ কাকে বলে ? শব্দ কত প্রকার ও কি কি উদাহরণস্বরূপ

শব্দ কাকে বলে? শব্দ কত প্রকার ও কি কি? সংজ্ঞা 

 শব্দ কাকে বলে?


অর্থ হল যে কোন শব্দ বা ভাষার প্রান। অর্থবিহীন কোন শব্দ বা ভাষা মূল্যহীন। এক বা তার অধিক ধ্বনির সমন্বয়ে যদি কোন নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ পায়, তাকে শব্দ বলে।

উদাহরণঃ
ক+অ+ল+অ+ম  = ধ্বনি। এই ধ্বনির পাঁচটির মিলিত রূপ হলো,কলম। এটি এমন একটি বস্তু যা সকলের প্রয়োজনীয় এবং খুবই মূল্যবান। মানুষের যোগ্যতা উন্নতি করতে এই কলমের ভূমিকা অনেক। ক,ল,ম ধ্বনি সমষ্টির মিলিত একটি অর্থপূর্ণ  শব্দ। 
যেমনঃ আমি , মাদ্রাসায়, যায় ইত্যাদি শব্দ। এই শব্দগুলির একটি অর্থ আছে। আমি=একজন ব্যক্তি, মাদ্রাসা=একটি শিক্ষা কেন্দ্র, যাই,=গন্তব্য। এই তিনটি শব্দ যদি আলাদাভাবে বলা হয় তাহলে পূর্ণ অর্থ প্রকাশ পায় না। এই তিনটি শব্দ যদি একসাথে বলা হয় তাহলে একটি সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ পায়। তাই মানুষ একটি শব্দের সঙ্গে আরেকটি শব্দ সংযুক্ত করে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করে। এখানে, আমি মাদ্রাসায় যাই এই বাক্যটি একজন ব্যক্তির মনের ভাব প্রকাশ করেছেন।
এখানে আমি, মাদ্রাসায়, যাই, এখানে তিনটি শব্দ।

শব্দ সম্পর্কে বর্ণনা বিভিন্ন ভাষা সাহিত্যিক গণ বিভিন্নভাবে দিয়েছেন। এখানে কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব ইনশাল্লাহ।
শব্দ কাকে বলে ? শব্দ কত প্রকার ও কি কি উদাহরণস্বরূপ
শব্দ কাকে বলে? শব্দ কত প্রকার ও কি কি উদাহরণস্বরূপ



শব্দ কাকে বলে?


একটি ধ্বনি  সমষ্টি, কোন বস্তু বা কোন বিষয়কে অর্থপূর্ণভাবে প্রকাশ করে সেই ধ্বনি বা  ধ্বনি সমষ্টিকে শব্দ বলে।
আরেকভাবে উদাহরণে বলা যায়, কোন অর্থপূর্ণ ধ্বনি বা লিখিত রূপকে শব্দ বলে।
সহজভাবেঃ
মানুষের মুখ থেকে বাহির হওয়া অর্থবোধক ধ্বনির সমষ্টিকে শব্দ বলে।
 আবার অর্থবোধক লিখিত ধ্বনির রূপকে শব্দ বলে।

শব্দ কত প্রকার ও কি কি?


শব্দ কত প্রকার ও কি কি তা নিয়ে ভাষা সাহিত্যিকদের মধ্যে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। তবে তিন ধরনের শব্দের শ্রেণীবিভাগ করা যায়।
উদাহরণঃ
  • গঠন অনুসারে শব্দের শ্রেণীবিভাগ।
  • অর্থ অনুসারে শব্দের শ্রেণীবিভাগ।
  • উৎপত্তি অনুযায়ী শব্দের শ্রেণীবিভাগ।
নিচে এই তিনটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

গঠন অনুসারে শব্দ কত প্রকার ও কি কি?


শব্দের গঠন অনুসারে বাংলা শব্দ দুই প্রকার, যথা 
  1. মৌলিক শব্দ 
  2. ও সাধিত শব্দ। 

অর্থ অনুসারে শব্দ কত প্রকার ও কি কি ?


অর্থের দিক দিয়ে আবার শব্দ তিন ভাগে বিভক্ত,যেমন
  1.  যৌগিক শব্দ 
  2.   রূঢ়ি শব্দ 
  3. যোগরূঢ় শব্দ 

উৎপত্তি অনুযায়ী শব্দ কত প্রকার ও কি কি? 


শব্দকে উৎপত্তি অনুযায়ী পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। 
  1. তৎসম শব্দ 
  2. অর্ধতৎসম শব্দ 
  3. তদ্ভব শব্দ
  4. দেশি শব্দ ও 
  5. বিদেশি শব্দ

এসব শব্দ কে আবার নানাভাবে ভাগ করা হয়েছে। নিচে কয়টি শব্দের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

 বিভিন্ন শব্দের বিশ্লেষণঃ 

মৌলিক শব্দ কাকে বলে? 


যে শব্দকে বিশ্লেষণ করতে পারা যায় না, বা বিশ্লেষণ করলে ভাঙ্গা অংশের কোন অর্থ হয় না, তাকে মৌলিক শব্দ বলে। উদাহরণঃ 
মা,হাত, গাড়ি ইত্যাদি মৌলিক শব্দ।
মৌলিক শব্দকে স্বয়ংসিদ্ধ শব্দও বলে। কারণ মৌলিক শব্দের অর্থ স্বতঃপ্রকাশিত ও চূড়ান্ত।

সাধিত শব্দ কাকে বলে? 


যে সকল শব্দকে বিশ্লেষণ করলে মৌলিক একটি অংশ পাওয়া যায়, তাকে সাধিত শব্দ বলে।
 আবার যে সব শব্দকে বিশ্লেষণ করলে আলাদা অর্থ পাওয়া যায় তাকে সাধিত শব্দ বলে। 
সাধিত মানে সাধন বা তৈরি করা হয়েছে এমন।
যেমনঃ অজানা=অ+জান+আ

 একাধিক মৌলিক শব্দের যোগেও  সাধিত শব্দ তৈরি হয়। উদাহরণঃ হাতপাখা=হাত+পাখা। চলাফেরা ইত্যাদি।

 যৌগিক শব্দ কাকে বলে?

যে সমস্ত শব্দের উৎপত্তিগত  এবং প্রচলিত অর্থ একই সেই সমস্ত শব্দকে যৌগিক শব্দ বলে।
 উদাহরণঃ জলজ,বনজ ইত্যাদি

রূঢ়ি শব্দ কাকে বলে? 

যে সমস্ত শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থের সঙ্গে প্রচলিত অর্থের মিল নেই সেই সমস্ত শব্দকে রূঢ়ি শব্দ বলে। উদাহরণঃ হরিণ 
হরিণ শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হরণকারী, কিন্তু সে অর্থের ব্যবহার না হয়ে হরিণ, একটি পশু বোঝাচ্ছে। 

যোগরূঢ় শব্দ কাকে বলে?

যে সমস্ত শব্দে প্রচলিত অর্থ এবং ব্যুৎপত্তিগত অর্থ দুটি বর্তমান থাকে, তবে মূল অর্থটি কিছুটা সংকুচিত থাকে সে শব্দকে যোগ রূঢ় শব্দ বলে। 

তৎসম শব্দ কাকে বলে? 

যে সমস্ত শব্দ প্রাচীন ভারতীয় আর্য বা সংস্কৃত ভাষা থেকে সরাসরি বাংলা ভাষায় এসেছে এবং অবিকৃত রূপে বাংলা ভাষায় টিকে আছে সেই সমস্ত শব্দকে তৎসম শব্দ বলে। 
এই তৎসম শব্দকে আবার দু ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
যেমনঃ
  1. সিদ্ধতৎসম  
  2. অসিদ্ধতৎসম

সিদ্ধতৎসম শব্দঃ
 
যেসব শব্দ বৈদিক বা সংস্কৃত সাহিত্যে পাওয়া যায় এবং যেগুলি ব্যাকরণ সিদ্ধ সেগুলিকে সিদ্ধতৎসম  শব্দ বলা হয়। 
উদাহরণঃ সূর্য, মিত্র, লতা ইত্যাদি 

অসিদ্ধতৎসম শব্দঃ
যে সকল শব্দ বৈদিক বা সংস্কৃত সাহিত্যে পাওয়া যায় না এবং সংস্কৃত ব্যাকরণ শুদ্ধ নয় তাকে অসিদ্ধতৎসম শব্দ বলে। উদাহরণঃ ঘর, চাল, ডাল ইত্যাদি। 

অর্ধতৎসম শব্দঃ 
যে সমস্ত শব্দ প্রাচীন ভারতীয় আর্য (বৈদিক/সংস্কৃত) থেকে মধ্যবর্তী স্তর প্রাকৃতের মাধ্যমে না এসে সোজাসুজি বাংলা ভাষায় এসেছে এবং পরবর্তীকালে লোকমুখে কিঞ্চিত পরিবর্তিত ও বিকৃতি লাভ করেছে তাকে অর্ধতৎসম শব্দ বলে।যেমনঃ নিমন্ত্রণ থেকে নেমন্তন্ন, ক্ষুধা থেকে ক্ষিদে ইত্যাদি। 

তদ্ভব শব্দঃ


দেখুন 👇👇👇 

























Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post