আমাদের এই ব্লগ সাইটের সমস্ত পোস্ট দেখতে Site Map Page দেখুন। এছাড়াও উপরে ডানপাশে সার্চ বক্সে আপনার প্রয়োজনীয় বিষয় লিখে সার্চ দিন।(ধন্যবাদ)

ভাষা কাকে বলে? মাতৃভাষা মানে কি? ভাষার প্রয়োজনীয়তা এবং ব্যবহার

ভাষা কাকে বলে? মাতৃভাষা মানে কি? ভাষার প্রয়োজনীয়তা এবং ব্যবহার

(সম্মানিত পাঠক পাঠিকা বৃন্দ)

  এ আর্টিকেলে আলোচনা করব ভাষা মানে কি? ভাষা কাকে বলে, মাতৃভাষা কি? ভাষা কত প্রকার, ভাষার প্রয়োজনীয়তা এবং ব্যবহার উদাহরণসহ আলোচনা করার চেষ্টা করব। এ আর্টিকেল পরে আপনারা জানতে পারবেন ভাষা কাকে বলে এবং এর বিস্তারিত তথ্য, এই বিষয়টি একটি গ্রামার বিষয় আমার লেখার মধ্যে যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা করে দেবেন।

প্রথমে বলি 


ভাষা কাকে বলে?


ভাষার ইংরেজি হচ্ছে(language) 

আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনে কথা বলে কিংবা লিখে মনের ভাব প্রকাশ করি, মানুষ ছাড়া আরও বিভিন্ন প্রজাতি তাদের নিজস্ব অঙ্গী ভঙ্গিতে মনের ভাব প্রকাশ করে থাকে। আর এই মনের ভাব প্রকাশ করার একমাত্র কৌশল হচ্ছে ভাষা। মানুষের মুখের ভাষা অন্যান্য প্রজাতির বিভিন্ন অঙ্গী ভঙ্গি হচ্ছে ভাষা। এক কথায় বলতে গেলে মানুষ বা যেকোনো প্রাণীকুল তাদের মনের ভাব প্রকাশ করা মাধ্যম কে ভাষা বলে থাকে। অতএব মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য যে অর্থপূর্ণ ধ্বনি বা অঙ্গী ভঙ্গি ব্যবহার করা হয় তাকে ভাষা বলে।

ভাষা মানে কি? ভাষা কাকে বলে? ভাষার প্রয়োজনীয়তা এবং ব্যবহার
ভাষা কাকে বলে? মাতৃভাষা মানে কি? ভাষার প্রয়োজনীয়তা এবং ব্যবহার


 মাতৃভাষা কাকে বলে?


এখন আলোচনা করা হবে মাতৃভাষা কাকে বলে এ বিষয়ে আলোচনা করব ইনশাল্লাহ।

মাতৃভাষা মানে হচ্ছে মায়ের ভাষা। একজন মানুষের প্রাথমিক বা স্থানীয় ভাষাকে বুঝায়, মা বাবার মুখ থেকে প্রথমে যে ভাষা শিখে সে ভাষাকে মাতৃভাষা বলা হয়। একজন শিশু যখন দুনিয়াতে আসে এবং আস্তে আস্তে মায়ের মুখে বিভিন্ন কথা শুনে এবং কয়েক বছর পর সেই ভাষা নিজের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে এবং আস্তে আস্তে আরো বিভিন্ন কথা বলতে শুরু করে খুবই স্পষ্টভাবে সেই ভাষাকে মাতৃভাষা বলে। আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে মা বাবার মুখে শোনা ভাষা এবং যে অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেছে সে অঞ্চলের ভাষাকে মাতৃভাষা বলে। এক একজন মানুষের একেক রকম ভাষা হতে পারে। এক একটি রাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় ভাষা এক এক রকম। আবার একই রাষ্ট্রে অনেক রকমের ভাষা আছে। যে যে অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেছে সেই অঞ্চলের ভাষাকে মাতৃভাষা বলা হয়।


ভাষা কত প্রকার ও কি কি?


এই বিশ্ব জগতে অনেকগুলো রাষ্ট্র আছে। প্রত্যেক রাষ্ট্রের আলাদা আলাদা রাষ্ট্রীয় ভাষা আছে। আবার একই রাষ্ট্রে অনেকগুলি আঞ্চলিক ভাষা আছে। অনেকেই নিজস্ব রাষ্ট্রীয় ভাষা ব্যবহার করে আবার অনেকেই স্থানীয় ভাষা ব্যবহার করে। সুতরাং একটি রাষ্ট্রে শুধু একটি ভাষা নয় কয়েকটি ভাষা বা কয়েকশত ভাষা থাকতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে এই পৃথিবীতে প্রায় চার হাজারেরও উপরে ভাষা আছে। এই এক একটি ভাষার ধরন একেক রকম। এত প্রকারের ভাষা নিয়ে আলোচনা করা সম্ভব নয় তাই নিচে কয়েকটি রাষ্ট্রীয় ভাষা উদাহরণস্বরূপ দেওয়া গেল। আমরা বাঙালি 

  • আমাদের রাষ্ট্রীয় ভাষা = বাংলা
  •  ভারতের রাষ্ট্রীয় ভাষা =  হিন্দি
  •  পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ভাষা = উর্দু
  • ইরানের রাষ্ট্রীয় ভাষা = ফারসি
  • ইরাকের রাষ্ট্রীয় ভাষা = আরবি
  • সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় ভাষা = আরবী
  • ওমানের রাষ্ট্রীয় ভাষা = আরবি
  • কাতারের রাষ্ট্রীয় ভাষা = আরবি
  • মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় ভাষা = মালয় ভাষা
  • আমেরিকার রাষ্ট্রীয় ভাষা = ইংরেজি
এগুলো যে কোন রাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় ভাষা। আবার  একটি রাষ্ট্রে বহু  রকমের ভাষা আছে এগুলো হচ্ছে আঞ্চলিক ভাষা।


ভাষার প্রয়োজনীয়তা কি?


ভাষা হচ্ছে আল্লাহর দেওয়া একটি বড় নেয়ামত। একজন মানুষের মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য এই ভাষা খুবই প্রয়োজন। যে মানুষের মুখে কোন ভাষা নেই বা মুখ থেকে কোন ভাষার শব্দ বের হয় না তারাই জানে মুখের ভাষা আল্লাহর কত বড় একটি দান। এই ভাষার মাধ্যমে একজন মানুষ আর একজন মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করে আলাপ আলোচনা করে। একজন মানুষের দৈনন্দিন কর্মক্ষেত্রে এই ভাষার খুবই প্রয়োজন হয়। একজন মানুষের জীবনের অগ্রগতি বাড়াতে এই ভাষার প্রয়োজন হয়। মানুষের চাকরি ব্যবসা-বাণিজ্য বিভিন্ন প্রয়োজনে এ ভাষার গুরুত্ব অনেক। তাই মানুষের জীবনে এই ভাষা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই মুখের ভাষা আল্লাহ তাআলার একটি বড় ধরনের দান। তাই এই দানের জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা প্রয়োজন।


ভাষার ব্যবহার 


আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষের মুখে ভাষা দিয়েছে তাদের মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য এই মুখের ভাষা মানুষ নিজের মনের ইচ্ছা অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারে। শুধু মুখে ভাষা আছে বলে যেমন তেমনভাবে ব্যবহার করলে এই ভাষা মানুষের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একজন মানুষের সভ্যতা এবং ভদ্রতা প্রকাশ পায় তার ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে। একজন মানুষ যদি তার মুখের ভাষা খারাপ পর্যায়ে ব্যবহার করে তাহলে মানুষ তাকে খারাপ বলে গণ্য করে। আবার একজন মানুষ যদি তার মুখের ব্যবহার ভালো করে তাহলে মানুষ তাকে ভালো বলে গণ্য করে। এই মুখের ভাষা হচ্ছে মানুষের শত্রু এবং বন্ধু তৈরীর একটি পন্থা। এই ভাষার মাধ্যমে একজন মানুষের সঙ্গে আরেকজন মানুষের সুসম্পর্ক এবং দুঃসম্পর্ক তৈরি হয়। তাই এই মানব সমাজে ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য এবং মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে থাকার জন্য এই ভাষাকে খুবই সভ্য ভাবে ব্যবহার করতে হবে। প্রচলিতভাবে একটি কথা আছে ব্যবহারে বংশের পরিচয়। কেউ যদি ভালো ব্যবহার করে তাহলে তার পরিচয় ভালোভাবে প্রকাশ পায়। তাই যেকোনো মানুষের প্রয়োজন একজন আরেকজনের সঙ্গে খুবই ভালোভাবে ব্যবহার করা।


 আরো বিষয় দেখুন👇👇👇




Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post